railway station : হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল  মজার  ছড়া’  

  railway station : হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল  মজার  ছড়া’   

হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল  মজার  ছড়া’

 

হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনে ব্যাণ্ডেল যাও চ'লে,

ছড়ার মাঝে স্টেশন গুলোর নাম দিচ্ছি বলে।

খোকা বলছে পাচ্ছে খিদে দাও মা হালুয়া,

মা বলছে অপেক্ষা কর আসছে #লিলুয়া*।।

রামকৃষ্ণ বলছে, গিরীশ-নরেন কতদূর ?

শিষ্য বলে গুরুদেব নিকটেই #বেলুড়*।

পাকা ঘরে ছাদ ছিল না মাথার উপর টালি,

খালের জলে ধুলো ময়লা নামটা হল #বালি*।

নিথর হয়ে ঘুমিয়ে আছে দিচ্ছে না কেউ সাড়া,

খোকা বলে তবে কি মা এটা #উত্তরপাড়া* ?

কারখানাটা বন্ধ হল মালিক এমন কঠোর ,

মা বলছে খোকা এবার এসেছে #হিন্দমোটর*।

খোকা মা'কে প্রশ্ন করে এটা মা কোন্ নগর ?

মা বলছে ঠিক ধরেছিস এটাই তো #কোন্ননগর*

তোতা পাখি পুষবে খোকা কিনে আনে পিঁজরা,

পরের স্টেশন নেমে যাবে এসে গেছে #রিষড়া*।

খোকা বলে শোনো মাগো ভক্তগণের সুর,

'জয় শ্রীরাম' আওয়াজ ওঠে এটা #শ্রীরামপুর*।

বাঁশের বাঁকে ঘট নিয়ে যায় শিবের ভক্তগুলি,

গঙ্গাঘাটে জল ভরবে নামে #শেওড়াফুলি*।

এক সময়ে ছিল সেথায় বৈদ্যদের ঘাঁটি,

তাদের নামেই নাম হয়েছে স্টেশন #বৈদ্যবাটি*।

জ্ঞানিগুণী ভদ্রজনে ভজন করে ঈশ্বর ,

লোকের মুখে প্রচার পেয়ে হয়েছে #ভদ্রেশ্বর*।

কোলাহলে যায় না বোঝা কথার মাথামুণ্ডু,

হুড়োহুড়ি হকারদের এসেছে #মানকুণ্ডু*।

আধিপত্যে ফরাসীদের বেড়ে ছিল বহর,

গঙ্গাপাড়ে প্রাচীন শহর নাম #চন্দননগর*।

ওলন্দাজে গীর্জা বানায় উঁচু তাহার চূড়া,

স্থানীয়দের চলতি কথায় হয়েছে #চুঁচুড়া*।

হাঁসগুলি সব জলাশয়ে ধ'রে খেত গুগলি,

উধাও হল হোগলা-বন রয়ে গেল #হুগলি*।

সুন্দরীদের হরেক পোশাক পায়ে পরা স্যাণ্ডেল,

চার্চে এবার ঘুরতে যাবে এসে গেছে #ব্যাণ্ডেল*।

 সংগ্রহ : সংঘমিত্রা প্রধান রায়