1 crore consumers at a fair price : সাশ্রয়ীমূলে পণ্য পাবে ১ কোটি পরিবার

‘রমজানকে সামনে রেখে হাসিনা সরকারের উদ্যোগ’
‘বাংলাদেশের চাহিদার অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে, কোন পণ্য সংকট নেই। এসকল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে’
‘রমজানকে সামনে রেখে’ একশ্রেণীর ব্যবসায়ী গোষ্ঠী পণ্যের কৃত্রিম সংকটের গুজব রটিয়ে ফায়দা লুটার তালে থাকে। সংঘবদ্ধ এসব ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবার ঘোষণা আগেই দিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি। সম্প্রতি সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক জানিয়ে দিয়েছেন, দেশে পণ্যে অঢেল মজুত। দাম বাড়ার যুক্ত নেই। সহনশীল হতে সাধারণ ক্রেতাদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
এবারে টিবির পণ্যবিক্রিতে কোন রকমের গরমিল না ঘটে সেই জন্য কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যমন্ত্রকের অধীন প্রতিষ্ঠান টিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার এককোটি নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে সাশ্রয়ীমূলে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি করবে। যেটি শুরু হবে ২০ মার্চ থেকে। দেশব্যাপী এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে দুই কিস্তিতে এককোটি পরিবার পাবেন সাশ্রয়ী পণ্য।
মন্ত্রী জানান, প্রথম কিস্তি বিক্রি চলবে ১০দিন তথা ২০-৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় কিস্তি ৩ থেকে ২০ এপ্রিল। সুশৃঙ্খল ভাবে টিসিবি’র পণ্য ক্রয়ের সুবিধার জন্য দেশব্যাপী এ সুবিধাভোগী পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করে বিশেষ ফ্যামিলি কার্য প্রদান করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
পাশাপাশি ভ্রাম্যমান ট্রাকেও পণ্যবিক্রি চলমান থাকবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্থানীয় জনসংখ্যা, দারিদ্রের সূচক বিবেচনায় নিয়ে এ তালিকা তৈরী করা হয়েছে। এতে করে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট ফ্যামিলি কার্ড হোল্ডারদের পণ্য বিক্রয়ের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।
যেসব পণ্য মিলবে তার মধ্যে রয়েছে, সয়াবিন তেল ২ লিটার (লিটার প্রতি ১১০ টাকা) ২ কেজি চিনি (প্রতি কেজি ৫৫ টাকা) ২ কেজি মসুর ডাল (৬৫ টাকা দরে), ৫০ টাকা দরে ২ কেজি ছোলা বিক্রয় করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ঘোষণা মোতাবেক সুষ্ঠুভাবে দেশব্যাপী এ সকল পণ্য সুষ্ঠু ভাবে বিক্রয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের প্রচার মাধ্যগুলোর এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে।
প্রকৃত প্রাপকগণ যাতে টিসিবি’র পণ্য পান, সে জন্য সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন টিসিবি’র ট্রাক সেল অব্যাহত থাকবে। রমজান সংযমের মাস, সকলকে সংযম প্রদর্শন করতে হবে। সামর্থবানরা যেন এক সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করেন সেবিষয়ে পরামর্শ দেন। বাংলাদেশের চাহিদার অতিরিক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত রয়েছে, কোন পণ্য সংকট নেই। এসকল পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, দেশের মানুষ এর সুফল পেতে মুরু করেছেন।
আগামীতে বছরব্যাপী ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয়ের পরিধি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংণলাদেশ (টিসিবি) এর চেয়ারম্যান ব্রিগে. জেনারেল মো. আরিফ হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামান এ সময় বক্তব্য রাখেন।