Bangladesh-India railway : বাংলাদেশ-ভারত কাণেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক : রেলপথে পণ্যপরিবহনে পাকশী বিভাগের আয় ১৮৩ কোটি 

Bangladesh-India railway : বাংলাদেশ-ভারত কাণেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক : রেলপথে পণ্যপরিবহনে পাকশী বিভাগের আয় ১৮৩ কোটি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা 


‘২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্যআমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের পাকশী বিভাগ রাজস্ব আয় করেছে  ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ২২৩ টাকা’

বাংলাদেশ-ভারত কাণেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক-এর আওতায় স্থল, জল এবং রেলের পথের সুবিধা বাংলাদেশ ভোগ করছে বেশ আগে থেকেই। কানেক্টিভিটি হচ্ছে সভ্যতার প্রতীক। তা নজির রয়েছে গোটা দুনিয়ায়। পণ্যপরিবহনে রেলপথ কতটা নির্ভরযোগ্য তা নজির গড়েছে করোনাকালীন সময়ে ভারত থেকে পণ্যপরিহনের মধ্য দিয়ে। রাজস্ব এসেছে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে।

 

২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর খুলে যায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৫ম রেলপথের দুয়ার তথা চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলসংযোগ। সেদিন মুক্ত হয় দীর্ঘবছরের বন্ধ থাকা রেলসংযোগটি। সেদিন চিলাহাটিতে উল্লাস দেখা গিয়েছিলো আমজনতার। চোখে জল আনা সেই দৃশ্য না দেখলে বলে বোঝানো যায় না।
 
বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সূজন ইঞ্জিনকভাবে দাঁড়িয়ে হাতে সবুজ নিশা উড়িয়ে বাশি বাজিয়ে চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি দিকে এগিয়ে যান। কিন্তু এক কদম এগিয়ে গেলেও রেলপথে হাজারো মানুষের উল্লাসে তা থেমে যায়। ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সেকি অনুভূতি! সত্তুর বছর বয়সের মানুষটি শীতের তোয়াক্কা না করে উল্লাস মিছিলে যোগ দেন। 

করোনাকালীন দুই বছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি প্রধান বাহন ছিলো রেল। কলকার কাচামাল থেকে শুরু করে  ভোগ্যপণ্যসহ সকল প্রকারের পণ্যপরিবহনের প্রতীকে পরিণত হয় রেল। আপদকালীন বন্ধুর হাত বাড়িয়ে দেয় ভারত সরকার। রেলপথ ব্যবহারে পণ্যআমদানি সময়-সাশ্রয়ী এবং ঝামেলামুক্ত হওয়ায় উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ে।  

রেলভবন সূত্রে জানা গিয়েছে,  ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্যআমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলের পাকশী বিভাগ রাজস্ব আয় করেছে  ১৮৩ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ২২৩ টাকা। এসময়ে ভারত থেকে ১ হাজার ৬১৩টি মালবাহী ট্রেনে এসব পণ্যপরিবাহিত হয়। তাছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা আয় করে।  পরবর্তীতে এই আয় বেড়ে দাড়ায় ৮০ কোটি ৯৪ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ টাকা।  ভারত রেলপথে আসা পণ্যের মধ্যে রয়েছে, গম, চাল, ভুট্টা, পাথর, পেঁয়াজ, খৈল, ফ্ল্যাই অ্যাশ, বক্সেন পাথর ইত্যাদি। 


পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আধিকারীক শাহীদুল ইসলাম মতে হাজারো ভোগান্তির মধ্যে সড়কপথে ভারত থেকে পণ্যসামগ্রী হতো। মালবাহী ট্রেনে স্বল্প খরচ ও কম সময়ে পণ্যপরিবহন সম্ভব হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে। তাতে ব্যবসায়ীরা খুশি। পাশাপাশি পণ্যের সংকটও থাকে না।