Climate change : ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায়’ উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্ধের দাবি

বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নোনাজলে সয়লাব উপকূল : ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্নেহের আস্ফালন তেমন একটা চোখে পড়ে না। রুটিরোজির তাগিদে এখানের মানুষগুলোকে রাতদিন তাড়া করে। স্কুলের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে অনেক পড়ুয়ার। কোথাও আবার জলবদ্ধতায় রান্নার জ্বালানিটুকু পর্যন্ত নেই। গোলা ভরা ধানের বেপারী এখন ভিখারী। অনেকে লজ্জায় এলাকা ছেড়ে নিরুদ্দেশ। তারপরও স্বপ্ন দেখেন উপকূলের বাসিন্দারা। আইলা-আম্ফানে তাদের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। কেড়ে নিয়েছে সহায় সম্বল।
স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসী
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নোনাজলে সয়লাব হয়ে গিয়েছে সাতক্ষিরার সুন্দরবনবর্তী উপকূল এলাকার অধিকাংশ এলাকা। নোনা জলে ডুবে থাকায় ফসল ফলানো যাচ্ছে না। অনেকস্থানে এখনও জোয়ারের নোনাজল হানা দেয়। অনেকের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় পর দিন খাবারের জোগারের ভাবনা। এমনি ভাবেই দিন কাটে এক সময়ের সমৃদ্ধ সুন্দরবন লাগোয়া সমৃদ্ধ এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দার। আনন্দ-উল্লাস এখানকার বাসিন্দাদের জীবনে অতীত।
জলবায়ু পরিবর্তনে হানা ক্ষেতের ফসল নষ্ট
তারপরও অপুষ্টি দেহ নিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করেন তারা। আর তাদের সহায়তা হাত বাড়ান নিখিলরা। নিখিল বাবুদের নিরন্তন চেষ্টা, কিভাবে সবহারা মানুষের জীবনমান আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব না হলেও তারা যেন বেচে থাকার ন্যুনতম নিশ্চিয়তাটুকু পান। সেই প্রচেষ্টাই চালাচ্ছেন ‘সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ নামের ব্যানারে। নিখিল বাবুদের প্রচেষ্টায় যদি ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসীর দহনযাত্রার কিছুটা হলেও যদি সুরাহা হয়। ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায়’ উপকূলের জন্য বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে এবারে মাঠে নামছে ‘সুন্দরবন উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’। আসছে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ঢাকার সেগুন বাগিচায় ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’ চত্ত্বরে ব্যানার-ফ্যাস্টুন নিয়ে দাঁড়াবেন তারা।