Climate crisis : জলবায়ু সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত মানবাধিকার, গবেষণা

ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার বিনষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সামাজিক অবক্ষয়, স্বাস্থ্য ও মানসিক ঝুঁকি, বাল্যবিবাহ এবং শিশু শ্রম, বেকারত্ব-দরিদ্রতা, উৎপাদন হ্রাস প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরিড) সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বক্তারা। দেশের তিনটি জলবায়ু অভিঘাতপূর্ণ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণার ফলাফল উত্থাপন করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জীবনবোধ, সংস্কৃতি এবং সমৃদ্ধিকে আক্রান্ত করে। অথচ এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো নেই। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সফররত ইউএনএইচসিআরের জলবায়ু ও মানবাধিকার দূত ড. ইয়ান ফ্রাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর আলোচনা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, সিপিআরডির নির্বাহী প্রধান শামসুদ্দোহা, বাদাবন সংঘের নির্বাহী প্রধান লিপি রহমান, এসডিএস নির্বাহী প্রধান রাবেয়া বেগম। শরীফ জামিল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে প্রকৃতি নির্ভর পদক্ষেপ নিতে হবে। পিতৃভূমি রক্ষা করা মানুষের মানবাধিকার। কিন্তু এটি রক্ষা করা হচ্ছে না।
তিন অঞ্চলের ৬০০ পরিবারকে নিয়ে করা এই গবেষণায় বলা হয়েছে, আকস্মিক বন্যা, নদীভাঙন, লবণাক্ততা এবং খরার ফলে স্বাস্থ্য সংকট, বাস্তুচ্যুতি, সামাজিক ও যৌন হয়রানি, পরিচয় সংকট, সহিংসতা, মানসিক বিপর্যয়সহ নানা ধরণের সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।