রমেশের ধর্ষণ মন্তব্য: কঠোর সমালোচনায় প্রিয়ঙ্কা, স্মৃতি ইরানি জয়া বচ্চনও

ফাঈল ছবি
সংবাদ সংস্থা
ক্ষমা চাবার পরও রেহাই মিলছে না কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা কে আর রমেশ কুমারের। ধর্ষণ নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের উত্তাপ ছড়িয়েছে সংসদেও। শুক্রবার কর্নাটক বিধানসভায় কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বলতে চাইছিলেন অনেক বিধায়ক। স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি জানান, সকলকে বলতে দিলে তিনি অধিবেশন চালাবেন কী করে? প্রাক্তন স্পিকার রমেশের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন পরিস্থিতি সামলাতে পারছি না, তখন যেমন চলছে, সেটাই উপভোগ করি।’ তখনই রমেশ বলে বসেন, ‘ধর্ষণ যখন আটকানো যায় না, তখন তা উপভোগ করাই ভাল।’ স্পিকার বা অন্য সদস্যেরা এই মন্তব্যের কোনও প্রতিবাদ না করে সমস্বরে হাসতে থাকেন।
প্রিয়ঙ্কা টুইটারে লেখেন, ‘আমি অন্তর থেকে রমেশ কুমারের মন্তব্যের নিন্দা করছি’।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন, প্রত্যেকেই রমেশের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন। নির্ভয়ার মা আশা দেবীর মন্তব্য এ ধরনের জনপ্রতিনিধি থাকা আমজনতার পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক!’
কংগ্রেস নেতা কে আর রমেশের ধর্ষণ মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ধর্ষণ নিয়ে কে আর রমেশের মন্তব্য অত্যন্ত লজ্জাজনক বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি। ‘ধর্ষণ যখন অনিবার্য, তখন শুয়ে পড়ে উপভোগ করাই ভাল’ বলে একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে মন্তব্য করতে পারেন বলে প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যিনি এই ধরনের মন্তব্য করেন মহিলাদের নিয়ে, তাঁকে প্রথমে দল থেকে বরখাস্ত করুক কংগ্রেস। তারপর ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু’ বলে স্লোগান নিয়ে কাজ করুক বলে কটাক্ষ করেন স্মৃৃতি ইরানি। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু’ বলে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে প্রচার শুরু করেছে কংগ্রেস।