Digital citizenship : অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে মানুষিকতার উন্নয়ন না ঘটলে ‘তথ্যপ্রযুক্তি’র ব্যবহার নিরাপদ হবে না

আমিনুল হক, ঢাকা
মাঠ পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এখনো নির্বিঘ্ন তথা পুরোপুরি হাতের নাগালে না আসলেও এর ব্যবহার বিস্তৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষিকতার উন্নয়ন না ঘটলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিরাপদ হবে না। এক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। আর এই বিষয়টি সম্ভব হবে সংবাদমাধ্যমের হাত ধরেই। তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সহজ ও সচেতন ব্যবহারের বিষয়টি অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যদিও এক্ষেত্রে নাগরিক কর্তব্য মেনে চলার তাগিদ রয়েছে। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সংবাদমাধ্যম হাত বাড়ালে এক্ষেত্রে সফলতা ঘরে তুলতে পারবে সাধারণ মানুষ।
সংবাদমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ‘ডিজিটাল সিটিজেনশিপ’ কর্মশালায় এমন অভিমত তুলে ধরা হয়। ঢাকার পুরানাপল্টনে আয়োজিত দুটো সেশনে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজক ছিলো যৌথভাবে ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম এবং ডিনেট। ইউরোপীয় ইউনিয়ননের (ইইউ) অর্থায়নে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা মোটা দাগের পড়ুয়াদের নিয়ে ‘ডিজিটাল জগতে নিরাপদ বিচরণ’ বিষয়ে সফলতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি রয়েছে একটি ওয়েবসাইট। যেখান থেকে উপকারভোগীর সংখ্যাও কম নয়। যে কেউ ইচ্ছে করলে এটি ভিজিট করে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
নাগরিক দায়িত্বশীতাকে সঙ্গী করে একজন পড়ুয়া তার সতীর্থদের এবিষয়ে সচেতনতা এবং অর্জিত অভিজ্ঞকে শেয়ারের মাধ্যমে অবদান রাখছেন। আগামীর হাত ধরে উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখতে ডিজিটাল প্লাফর্মে সচেতনতায় অংশিদারিত্ব আরও বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়।
কর্মশালায় বলা হয়, পদে পদে শঙ্কা থাকলেও ডিজিটাল সিটিজেনশিপ তথা তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে সচেতনতাই মুখ্য। আর এই কাজটি এগিয়ে দিয়ে দায়িত্বশীল সংবাদকর্মীর তার ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সম্ভাবনার সঙ্গে শঙ্কাও থাকে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দুনিয়াজুড়েই ‘ডিজিটাল ল’ রয়েছে। এক্ষেত্রে একজন নাগরিকে তার সহিষ্ণু অবস্থানে থেকেই তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে নাগরিক জীবনে অনেক কিছুই এড়িয়ে চলা যায়। সমাজবিনির্মানে সামাজিক যোগাযোগ একটা শক্তিশালী মাধ্যমে। এমাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার এবং মতামত প্রদানে আমাদের সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। যে কোন মত প্রকাশের বেলায় অন্যের প্রতি সম্মানবোধের জায়গাটি অক্ষুন্ন রাখতে হবে। কোনভাবেই কারো ব্যক্তি স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ করা উচিৎ হবে না।
কর্মশালায় তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করা বা মতামত দিতে নিরাপদ মনে করে থাকেন। তবে অধিকাংশ নাগরিক ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছেন।