Imran Khan : সুপ্রিম কোর্টে নাকচ অনাস্থা ভোট বন্ধের আবেদন, আজই ভাগ্য নির্ধারণ ইমরান খানের

ইমরান খান ছবি সংগ্রহ
এননিউজ ডেস্ক
ক্রিকেট খেলার মাঠ আর রাজনীতির মঞ্চ যে এক নয়, তা হারে হারে টের পাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সরব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ মানুষও। দেশটির সেনাপ্রধান ক’দিন আগেই ইমরান থানকে পদত্যাগের হুশিযারি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহাতায় হাত ছিলো ইমরান খানের ওপর, কিন্তু সম্প্রতি সেই সহায়তার হাত সরে গিয়েছে। কে হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়ে পরিষ্কারভাবে সংবাদমাধ্যমে নাম ধাম ওঠে এসেছে। এমন অবস্থায় অনাস্থা ভোট বন্ধের যে আবেদন করা হয়েছিলো দেশটির উচ্চ আদালতে, সেই আবেদন, নাকচ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ফলে ইমান খান ক্ষমতার মসনদে থাকছেন কিনা তা আজই নির্ধারণ হয়ে যাবে। রবিবার তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হওয়ার কথা। যদিও এরই মধ্যে ফলাফল স্পষ্ট-ইমরান খানের বিরুদ্ধে এমপির সংখ্যাই বেশি। অবশ্য গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো। কয়েক দফা পেছানোর পর আজ প্রস্তাবটির ওপর ভোট হতে পারে।
ইমরান খান
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব পেশের পর সাত দিনের মধ্যে ভোট বাধ্যতামূলক। সেই সময়সীমা মেনেই রবিবার ভোটাভুটির দিন ধার্য হয়েছে। জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন। তবে সর্বশেষ হিসাবে বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৭৭ ভোট।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান স্বাধীনতার পরবর্তী সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে কোনো সরকারই পূর্ণ মেয়াদে দেশটির ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। সর্বশেষ ইমরানের ভাগ্যেও তেমনটা ঘটতে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য ইমরান খানের দাবি, দেশে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার পতনের জন্য রাজনীতিবিদরা ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন। এই ষড়যন্ত্র বিদেশ থেকে শুরু হয়েছে এবং বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের এখান থেকে সহায়তা করছেন মীর সাদিক।
ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না দাবি করে ইমরান খান আরও বলেন, বিশ্বাসঘাতকদের যাতে পাকিস্তানের ইতিহাস ভুলে না যায়, তিনি তাই চান। তাদের এমনটা অনুভব করতে দেওয়া হবে না যে, তাদের ভুলে যাওয়া হয়েছে। যারা জাতির সঙ্গে বেঈমানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। সূত্র বিবিসি ও ডন