Imran Khan: ইমরান খানের পতনের নেপথ্যে হাত পাক জেনারেলের!

Imran Khan: ইমরান খানের পতনের নেপথ্যে হাত পাক জেনারেলের!

পাশাপাশি ইমরান এবং বাজওয়া : ফাইল ছবি 

এননিউজ ডেস্ক 

অতীতের মতো এবারে সরাসরি সেনা অভ্যুত্থান দেখেনি পাকিস্তান ঠিক, কিন্তু  দেশজুড়ে প্রবল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও  চোখে পড়েনি উর্দিধারীদের।  প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানের বিদায় স্পষ্ট হতেই নতুন করে সামনে আসে পাক ফৌজের নেপথ্য ভূমিকা নিয়ে।

২০১৯-এর অগস্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান পদে জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চলতি রাজনৈতিক টানাপড়েনের অংশীদার হবেন না তারা।

এদিকে সোমবার বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সেনাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাক সেনার ‘ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস’ (আইসিপিআর)-এর ডিরেক্টর মেজর জেনারেল বাবর ইফতিকার।  এরপরও কিন্তু গুঞ্জন তাতে থামছে না। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান সেনাপ্রধান পদে কামার জাভেদ বাজওয়ার মেয়াদ দ্বিতীয় বার বাড়াতে গররাজি হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে বিরোধী জোটের তৎপরতা বেড়েছে। 

এরপরই  গেল দু’সপ্তাহে একের পর এক সহযোগী দল ইমরানের ‘পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ’ (পিটিআই)-এর সঙ্গ ছেড়েছে, পাক ফৌজের ভূমিকা ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।


ইমরান খানের সুপারিশে ২০১৮’র জুনে আইএসআই-এর ডিজি পদে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফৈজ হামিদকে নিয়োগ করেছিলেন জেনারেল বাজওয়া।  গেল নভেম্বরে তিনি হামিদকে সরিয়ে পাক গুপ্তচর সংস্থার দায়িত্ব দেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ অঞ্জুমকে। যদিও ইমরান চেয়েছিলেন হামিদকে বহাল রাখতে। পরে একটি সাক্ষাৎকারে আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে বাজওয়ার সঙ্গে তার মতবিরোধের কথা স্বীকারও করেছিলেন ইমরান।