India-Bangladesh bus service : ফরে চালু ভারত-বাংলাদশে বাস সার্ভিস

‘পরিবহন সংস্থার এমডি শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানালেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রা শুরু। যাদের পরিবহন জগতে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’র গর্বিত ইতিহাস রয়েছে। তা ধারণ করেই দুই দেশের মৈত্রীর বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গিকার নিয়ে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রত্যয়ের কথাই জানান রাকেশ বাবু।পরিবহন সংস্থাটি বাংলাদেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস। একমাত্র বাস অপারেটর যাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস’
এ. এইচ. ঋদ্ধিমান, ঢাকা
করোনা অতিমারির কারণে একটা লম্বা সময় দু’দেশের বাস পরিষেবা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ফের চালু হলো। এদিন সকাল আটটা নাগাদ ঢাকার কমলাপুর আন্তর্জাতিক বাস টামির্নাল থেকে কলকাতাগামী বাসটি ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দু’বছর সাত মাস পর ফের চালু হল দু’দেশের বাস পরিষেবা। বাংলাদেশ একমাত্র সরকারী পরিবহণ সংস্থা বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার, বাস অপারেটর শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশকে সঙ্গে নিয়ে শুভ্র যাত্রার সূচনা করেন। সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিশে শ্যামলী পরিবহনের আধুনিক প্রযুক্তির বিশাল বহুল বাসটি সাজিয়ে তোলা হয়।
অতিমারি দু’দেশের যাত্রীবান্ধব পরিষেবার কপাট বন্ধ করে দেয়। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ সকল বিদেশি পর্যটকদের ভিসা বাতিল করায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে ঢাকা-দিল্লির সিদ্ধান্তে দুই দেশের পতাকা উড়িয়ে শুক্রবার ঢাকা-কলাকাটা রুটে সরাসরি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। এদিন আগরতলা আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বাসটি ঢাকা পৌছে যাত্রী নিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যায়। দুই দেশের মধ্যে থাকা বাকি রুটগুলোও পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম এবং বাস অপারেটর শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ।
বাস পরিষেবার শুভ যাত্রার সূচনা করে বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আন্তর্জাতিক রুটে বাসপরিষেবা চালু রাখতে পারেনি বিআরটিসি। বৃহস্পতিবার খুব কম সময়ের নোটিশে বাস পরিষেবার চালুর পদক্ষেপ নিয়েছেন।
পরিবহন সংস্থার এমডি শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানালেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রা শুরু করে। যাদের পরিবহন জগতে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’র গর্বিত ইতিহাস রয়েছে। তা ধারণ করেই দুই দেশের মৈত্রীর বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার অঙ্গিকার নিয়ে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রত্যয়ের কথাই জানান রাকেশ বাবু।
শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ
পরিবহন সংস্থাটি বাংলাদেশে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৯ সাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ বাস পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস। সরকারের একমাত্র বাস অপারেটর যাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস।
এর আগে ২৯ মে ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতার মধ্যে শুরু হয় ট্রেন পরিষেবা। এদিন দুই দেশের রেলপথ মন্ত্রী দিল্লী থেকে যৌথভাবে ভারতের সঙ্গে পঞ্চম রেলসংযোগ চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটে ঢাকা-নিউজলপাইগুড়ি চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেসের শুভ যাত্রার উদ্বোধন করেন।
করোনার প্রাদুর্ভাবে যাত্রী ট্রেন ও বাস বন্ধ থাকলেও চালু ছিলো পণ্য ট্রেন। এসময় রেকর্ড পরিমাণ পণ্য ট্রেন পরিচালানা করে বাংলাদেশে পণ্যপরিবহন করে ভারত। ভারতের বাইরে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে দ্রুত অক্সিজেন সরবরাহে যুক্ত করে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। যা কিনা মৈত্রীর এক উজ্জল দৃষ্টান্ত।
ভারতীয় কমিশনের ২০১৯ সালের এক পরিসংখ্যানে বলা হয় ১৫ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছে ভারত। যা কিনা সেসময়ের ভারতে ভ্রমণ করেনে বিদেশি পর্যটকের ৬৫.৬১ শতাংশই বাংলাদেশি। চিকিৎসা, ভ্রমণ, ব্যবসা, শিক্ষা নানা কারণে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি ভারতে ভ্রমণ করেন। ভিসা পেতে প্রতিনিয়ত লোকের সমাগম বাড়ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ বছরব্যাপী ভিসা প্রদানের প্রচলন করেছে ভারত।