Indo-Bangla dialogue : উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ভারতের ইন্দোর  মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মত বিনিময়

Indo-Bangla dialogue : উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ভারতের ইন্দোর  মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মত বিনিময়

ছবি সংগ্রহ স

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২১ সালে ভারত সরকার পরিচালিত বার্ষিক পরিচ্ছন্নতা সমীক্ষায় ইন্দোর শহরকে  দেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত এই শহরটি ২০১৭ সাল থেকে টানা ৫ বার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ‘পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে’ প্রশংসনীয় হয়েছে। কর্মকান্ডের মধ্যে বর্জ্য পৃথকীকরণ, ঘরে ঘরে গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ, বাসিন্দাদের বাড়িতে কম্পোস্টিং, দিনের বর্জ্য পুনর্ব্যবহার, কেন্দ্রীয় কম্পোস্টিং সুবিধা ইত্যাদি।

ইন্দোরের এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ ভাগাভাগি করতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি কর্পোরেশন এক মতবিনিময়ের আয়োজন করে। মঙ্গলবার ভাচ্যূয়াল প্লাটফর্মে সংলাপের আয়োজন করা হয়। তাতে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারীকরা। ‘বর্জ্য সংগ্রহ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা করণীয় বিষয়ে গৃহীত প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন তারা। ভাচ্যূয়াল সংলাপ আয়োজনে হাত বাড়ায় ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন এবং ভারত সরকারের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রক। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এসব তথ্য জানানো হয়। 
 


ভারতের তরফে ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মিশন পরিচালক ও স্বচ্ছ ভারত মিশনের যুগ্ম সচিব শ্রীমতী রূপা মিশ্র, ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অতিরিক্ত কমিশনার শ্রী সন্দীপ সোনি; কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারীগণ এবং সেন্ট্রাল পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের প্রতিনিধিগণ। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত সচিব ও প্রধান নির্বাহী মো. সেলিম রেজা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। যার মধ্যে রয়েছেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিরুল ইসলাম,  প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরীফ-উল ইসলাম এবং ডিএনসিসির অন্যান্য সদস্য।

ওয়েবিনারে ইন্দোর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারীকরা তাদের বর্জ্য সংগ্রহের পদ্ধতি, উদ্ভাবনী অনুশীলন এবং দক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্বারা গৃহীত প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। ইন্দোরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন শতভাগ ঘরে ঘরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা, মিউনিসিপ্যাল ক্লিনারদের জন্য বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ব্যবস্থা, জিপিএস-ট্র্যাক করা যায় এমন বর্জ্য সংগ্রহের যানবাহন ইত্যাদির বিশদ বিবরণ দিয়েছে। 

অফর দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আধিকারীকরা তাদের সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি বিষয়ে এবং কীভাবে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য পৌর পরিষেবার ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন। 

অনুষ্ঠানে শ্রীমতী রূপা মিশ্র বলেন যে, পারস্পরিক শিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে ভারত আনন্দিত। সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান। মো. সেলিম রেজাও দুই নগর সভার মধ্যে অনুষ্ঠিত এই ধরনের প্রথম ওয়েবিনারকে স্বাগত জানান।