Kakdwip Holychild Mission : কাকদ্বীপ হলিচাইল্ড মিশন 

Kakdwip Holychild Mission :  কাকদ্বীপ হলিচাইল্ড মিশন 

কাকদ্বীপ হলিচাইল্ড মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সংঘমিত্রা প্রধান রায় 

নিজস্ব প্রতিবেদক

পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনার কাকাদ্বীপ হলিচাইল্ড মিশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বেশ পুরানো। সংঘমিত্রা প্রধান রায় নিজস্ব স্থানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। এটি ঘিরেই রয়েছে তার আবেগ-ভালোবাসা। কোমলমতি পড়ুয়াদের নিয়ে তার ভাবনার অন্ত নেই। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিটি দিবস পালন করা হয় নাড়ম্বরে। টিফিন থেকে শুরু করে পিকনিক সকল কিছুই পালন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।  

খোলামেলা জায়গাজুড়ে স্কুল ভবন। রয়েছে পড়ুয়াদের খেলাধূলা আর পিটি থেকে শুরু করে নানা আয়োজনের স্থানও। নানা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় হল রুমে।  ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল বেলাটা কোমলমতি পড়ুয়াদের কলকালীতে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে কাকদ্বীপ হলি চাইল্ড মিশনের। এটিকে সবুজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলা যায়। কারণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির চারিদিকে সবুজ গাছগাছালি। এক পাশে একটি দীঘিসম একটি পুকুর। সব মিলিয়ে পরিবেশ বান্ধব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাকদ্বীপ হলিচাইল্ড মিশন। 

কভিডের দখল কাটিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কপাট খুলেছে। এখন লেখাপড়া পুষিয়ে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা। দীর্ঘদিন পর নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা রেখে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেয়  কচিকাচারা।  তাদের সে কী আনন্দ। দু’টো বছর তারা ছিলো বদ্ধ ঘরে। সঙ্গী চিলো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। বাবা-মায়ের অসহায়ত্ব। এছাড়া যে তাদের আর কিছু করার নেই। শারীরিক-মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়ার সংখ্যা অগনন। 

প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে পড়ুয়াদের সাহস যোগাচ্ছে। দু’বছর লেখাপড়া থেকে দূরে ছিলো তারা। আর পরিবেশও ছিলো না। নির্ভর ছিলো সেই অনলাইন ক্লাশে। কিন্তু সশরীরে পাঠদানের তুলনা হয় না। তারপরও পড়ুয়াদের স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।