Lata Mangeshkar Death : সুরমাতার বিদায়ে কাঁদছে উপমহাদেশ  

Lata Mangeshkar Death : সুরমাতার বিদায়ে কাঁদছে উপমহাদেশ  


 উদয়ন চৌদুরী

‘লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে দু’দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। রবিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে তাঁর শেষকৃত্য। লতার প্রয়াণে সোমবার অর্ধ দিবস ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মরাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান।  সেই ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ‘মজবুর’ ছবিতে গান করেন’  
 
পঞ্চাশ বছরেরও অধিক সময় ধরে অপ্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তিনি। ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সুরাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র। মাতৃত্বের মমতায় সুরের আঁচল বিছিয়ে দিয়েছেন তিনি।  শান্ত-মোলায়েম কন্ঠে সুরের পরশ বিলিয়েছেন। আজীবন সঙ্গীতকে আঁকরে ধরেই যিনি বেচে ছিলেন, আজ সেই জীবনের অবসান হলো। 


 
রবিবার শীতের ভোরে অবিশ্বাস বার্তা আছড়ে পড়ে। ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীতের ধ্রুবতারা খসে পড়েছে। পরপারে পারি জমিয়েছেন ‘কিংবন্দন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। 
 
৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে উপমহাদেশের সঙ্গীত জগতের যিনি ছিলেন সবচেয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বি সুরদেবী, সেই লতা মঙ্গেশকর চলে গেলেন সুরের আকাশ ছেড়ে। 

লতা মঙ্গেশকর প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। প্রায় চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শিল্পী। সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার আচমকা তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে। রবিবার সকালে তিনি প্রয়াত হন।

কোভিডে আক্রান্ত শিল্পীকে ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। পাশাপাশি নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন তিনি। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। ৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি। ২৮ দিনের মাথায় চলে যান সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর। 


 
।