Muna Chowdhury : একটি গান একটি দেশ নয়,  গোটা দুনিয়ার গান ‘মুনা চৌধুরী’ 

Muna Chowdhury :   একটি গান একটি দেশ নয়,  গোটা দুনিয়ার গান ‘মুনা চৌধুরী’ 

মুনা চৌধুরী 

অনিরুদ্ধ 

নিজেকে একজন লেখক, আবৃত্তিশিল্পী এবং সাংস্কৃতিকর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।  যদিও তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত সংবাদ পাঠিকা। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার কর্মজীবনের নানা দিক নিয়ে কবিতা, নিবন্ধন লিখে চলেছেন। রয়েছে নিজের লেখা একাধিক গ্রন্থ। বাংলা একাডেমি মঞ্চ থেকে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্সের মঞ্চেও তার সরব উপস্থিতি।

টুঙ্গি পাড়ার মঞ্চে

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিলেট বিভাগের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন কবি মুনা চৌধুরী।  একাধারে সংগঠক, লেখক, আবৃত্তি শিল্পী, সমাজ চিন্তক এবং সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের বাসিন্দা মুনা চৌধুরী। যিনি নিজেকে কখনও অবলা ভাবেন না, হাজারো প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেছেন তিনি। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কিছু করাটা তার দায়িত্বের অংশ মনে করেন।

জানালেন, লেখক-আবৃত্তি শিল্পের পরতে পরতে তিনি বিচরণ করতে চান। অন্যান্য বিষয়গুলো একসঙ্গে না করে সাংস্কৃতিক শক্তিকে জাগরুক করেছেন। সাংস্কৃতিক মুক্তিই একটি জাতিকে শুভ পথের সন্ধান দেয়।

 মুনা চৌধুরী স্মিত হেসে শান্ত গলায় বললেন, এই ধরুণ  বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কথাই যদি বলি, এই জোট আমাকে সিলেট বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছে। একটি বিভাগের দায়িত্ব পালন কঠিন হলেও আমাকে প্রচেষ্টা চালাতে হবে, সেই মনবল আমার রয়েছে।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন

 আচ্ছা, আপনিতো রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও কাজ করছেন, কিভাবে সামাল দিচ্ছেন, মুনা  চৌধুরী একটু সময় নিয়ে বললেন, দেখুন, আমরা কেউ কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরের কোন অংশ নই। নিজের ঘর থেকে শুরু করে বর্হিঙ্গন বলুন, সর্বত্র রাজনৈতিক মোড়ক! মানুষকে জাগিয়ে তুলতে এর প্রয়োজন রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের নানানদিকের সচেতন বার্তা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে  মানুষের কাছে আরও দ্রুত পৌঁছায়।

আমরা যদি রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুলসহ লেখকদের দিকে তাকাই তাহলেও কিন্তু রাজনৈতিক শিক্ষাটি পাই। ভারতের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজ সরকারের দেওয়া নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। আর নজরুলের বিদ্রোহী  হয়ে ওঠার শিহরণ জাগানিয়া গল্পতো আমাদের সবার জানা।

একুশে ফেব্রুয়ারির কথাই ধরুন,  একটি গান একটি দেশ নয়, গোটা দুনিয়ার গান হয়ে ওঠার গর্বতো আমরাই ধারন করেছি! একটি দেশের মুক্ত সাংস্কৃতিক  চিন্তা-চেতনা  সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার বলতে পারেন। এ কারণে শিল্প ও সাংস্কৃতি চর্চার সাথে  লেখালেখিটাও মুনা চৌধুরীর জীবনের অঙ্গ।