Russia-Ukraine war will have a devastating effect on the world economy: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিধ্বংসী প্রভাব ফেলবে

ছবি সংগ্রহ
আমিনুল হক, ঢাকা
কনোরা মাহামারির ইতিহাস একটা লম্বা সময় মানুষের স্মৃতিকে ভর করে থাকবে। করোনা নামক ভাইরাসটি স্থানীয় রোগে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে তার শক্তি হারাচ্ছে। পৃথিবীতে ভাইরাসের ইতিহাস পুরানো। কিন্তু গোটা দুনিয়াকে কাঁপানো ভাইরাসটির নাম করোনা! যে কিনা বহুরূপী!
গেল দুই বছরে একটা মোটা দাগের মানুষকে নিঃস্ব করেছে। হতাশাগ্রস্ত বহু মানুষকে আত্মহননের পথে ঠেলে দিয়েছে! কর্ম-বসতি হারা মানুষের হিসেব অজানা। পর্যটন-বাণিজ্যে বড় আঘাত। বিশ্বাণিজ্যের প্রভাব কেটে ওঠতে কতটা সময় নেবে তা সঠিক করে বলার সময় এখনো আসেনি।
বৈশ্বিক মহামারি করোনার যখন দুর্বল হয়ে মানুষকে আশা জাগাচ্ছে, অর্থনীতির যখন গতি পাচ্ছে, ঠিক তখনই বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে মনুষ্যসৃষ্ট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ! রাশিয়ার বারুদে যখন ইউক্রেন জ্বলচ্ছে, তার আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বিশ্বে। ফের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অর্থনীতিতে।
বাংলাদেশের মাথা উঁচু করা অর্থনীতির বড় শক্তি তৈরি পোষাকখাত। বিশ্বের একটা বড় বাজারে বাংলাদেশ তৈরি পোষাক রপ্তানির অন্যতম দেশ। কিন্তু এই সম্ভবনার দুয়ারে আঘাত হানছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ! ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়াটাই স্বাভাবিক। ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদদের বিশ্লেষণ বলছে, যুদ্ধ যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানিতে বড় ব্যাঘাট ঘটতে পারে। যুদ্ধের কারণে এখনই বাংলাদেশের কোন ব্যাঙ্ক রাশিয়ায় এলসি খোলাটা নিরাপদ মনে করছে না।
করোনায় দুনিয়াব্যাপী দ্রব্যমূল্য বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। সেই সঙ্গে পণ্যপরিবহন থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে। নিত্যপণ্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ যখন আরেক দফা হতাশাগ্রস্ত, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যে আরেক দফা চাপ পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
ইউরোপ-আমেরিকা নির্ভর বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য। যুদ্ধ যতই দীর্ঘ হবে, এর নেতিবাচক প্রভাব ততটাই বাড়তে পারে। সংকটের মুখে পড়টাও স্বাভাবিক। যুদ্ধের কারণে জলপথে রপ্তানি-বাণিজ্যে জাহাজ সংকটও বড় ফ্যাক্টর। যুদ্ধের কারণে প্রথমত জ্বালানি ও ভোজ্যতেলের আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটবে। যুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে হাতিয়ার করে ওৎ পেতে থাকা মুনাফালোভি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। মূল্যসন্ত্রাসের বলি হয় আমজনতা!
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে গেল অর্থবছরে রাশিয়ায় যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে, চলতি বছরে আরও বড় পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাশিয়ায় যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করেছে, সেই অর্থ ফিরিয়ে আনা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য বিকল্প পন্থায় পণ্যমূল্য ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আশাবাদি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী।