Sitakunda Fire : বাংলাদেশের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিধ্বংসী বিস্ফোরণে মৃত ৪৯

ছবি সংগ্রহ
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা
বাংলাদেশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ন্যাদারলেন্ড ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে স্থাপিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিধ্বংসী বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা আরও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে এমন আশঙ্কা প্রশাসনের। বিধ্বংসী বিস্ফোরণে ডিপোর চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কম্পনের সৃষ্টি হয়।
তাতে বাড়িঘরের দরজা-জানার কাচ ভেঙ্গে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাজুড়ে। বিদ্যুৎহীন গোটা এলাকা অন্ধকারে ডুব দেয়। মানুষের আর্তচিৎকার আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ছুটে চলে হাসপাতাল অভিমুখে।
শনিবার রাতের আগুন ও বিস্ফোরণে মৃতেদের মধ্যে ২২জনের মরদেহ সোমবার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকীদের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
এরমধ্যে গুরুতর দগ্ধ ১৬জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা নাজুক। দগ্ধ প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যাদের অধিকাংশই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। তারা চোখ খুলতে পারছে না। মুখ ফুলে গিয়েছে। রাসায়নিক বিস্ফোরণের কারণেই এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আগুন লাগার পর ডিপো কর্তৃপক্ষ ফায়ার সার্ভিসকে সঠিক তথ্য সহযোগিতা করলে ৯ জন কর্মীর মৃত্যু হতো না। যা কিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ডক। বলে উল্লেখ করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল
ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো মাইন উদ্দিন।