Tajpur : তাজপুর সংলগ্ন অঞ্চলের সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জনজীবন ধ্বংসের পরিকল্পনা পাকা

সন্তোষ সেন
তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ইচ্ছাপত্র রাজ্য সরকারের পক্ষে আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দেওয়া হল ১১ ই অক্টোবর। আদনিরা নাকি ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। শোনা যাচ্ছে যে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হলে প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে সরকারকে।হওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রচুর মানুষের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে। এইনিয়ে প্রচুর চর্চা হবে, রাজনৈতিক বাদ প্রতিবাদও হবে।
একদিকে দেউচা কয়লা খনি ও অন্যপ্রান্তে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর বাংলার আদিবাসী ও মৎস্যজীবি সহ আমজনতার স্বাভাবিক জীবন যাপন, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে কিভাবে ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে দেবে, তা বোধহয় আলোচনার বাইরেই রয়ে যাবে।
প্রশ্ন উঠুক -- দেশি বিদেশি কর্পোরেটের আরো আরো বিনিয়োগ ও সীমাহীন মুনাফার স্বার্থে আমাদের চারপাশের আকাশ বাতাস দূষিত হবে কেন, তোমাদের ভোগ্যপণ্যের বিশ্ববাজারকে আরো সুগম করার জন্য আমাদের ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের বারোটা বাজবে কেন, তোমাদের ফুলেফেঁপে ওঠা পুঁজিকে বাস্তব জমিতে রিয়েল করার তাগিদে সাধারণ মানুষের প্রাকৃতিক জীবনযাত্রাকে বিপর্যস্ত করা হবে কেন???
সারা বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয় যেভাবে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে চরম থেকে চরমতর আকার ধারণ করেছে, সেখান থেকে বাঁচতে ও আমাদের আদরের ছেলেমেয়ে, নাতিপুতিদের বাঁচিয়ে রাখতে হলে এখনই জোট বাঁধুন, পরিবেশ বিপর্যয় রুখতে আসুন পথে নামি এখনই। নাহলে আর ভাবার সুযোগটুকুও পাওয়া যাবে না, কারণ মানব সভ্যতা এর মধ্যেই এক অপরিবর্তনীয় জলবায়ু পরিবর্তনের চক্রের মধ্যে পৌঁছে গেছে। তাই সাধু সাবধান।
লেখক : সন্তোষ সেন, বিজ্ঞান শিক্ষক সেন্ট জেভয়ার্স স্কুল, কলকাতা