Transport sector  : আচমকা জ্বালানি  তেলের দাম বৃদ্ধি, পরিবহনখাতে অস্থিরতা  

Transport sector  :  আচমকা জ্বালানি  তেলের দাম বৃদ্ধি, পরিবহনখাতে অস্থিরতা  

  পরিবহন ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা 

আচমকা জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণেই গণ পরিবহনখাতে অস্থিরতা দেখা দেয়। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্য বাজারে। যানজটের নগরী হিসাবে পরিচিত ঢাকা। দূরপাল্লার পথেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে যানজটের কবলে পড়তে হয়। এ অবস্থায় তেলের ব্যয় বেশি হয়ে থাকে। ঢাকা-কক্সবাজার ১৫০ টাকা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ১০০ টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। তাতে পরিবহনখাতে যে পরিমাণ ব্যয় হবে তা পুষিয়ে নেওয়াটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।  পণ্যপরিবহনে ব্যবহৃত লরিতে তেলের ব্যয়টা আরও বেশি বলে মনে করেন পরিবহন ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দিন।  

বিনা নোটিশে আচমকা জ্বালানি তেলের মূল্য লিটারে ৩৪ টাকা বাড়ার ঘোষণা আসার পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজখবর নিতে গিয়ে আলাপ হলো এই পরিবহন ব্যবসায়ীর সঙ্গে। বন্ধু বৎসল মানুষটি হাসিমুখে বললেন, জানেনতো আমাদের ঘাটে ঘাটে ব্যয়। এ অবস্থায় ভাড়া বাড়ানো না হলে আমাদের গাড়ি চালানো সম্ভব হবে কিনা বলতে পারছি না। অস্থিরতায় ভোগেন সাহাবুদ্দিন।  তারপরও বলেন, আমরা আশা করি সরকার এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। 

সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার সময়ই বিভিন্ন স্থানে যাতায়তের জন্য বেশ  কয়েক যাত্রী আসলেন। কিন্তু টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হলো না। পরামর্শ আসলো বিকাল ৫টা নাগাদ আসুন।  জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পর থেকে পণ্যপরিষেবার লরির চাকা বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভাড়া সমন্বয় করা না হলে লরির চাকা ঘুরবেনা। 

রবিবার সকালে ঢাকার সবচেয়ে বড়  লরি স্ট্যাণ্ড ‘তেজগাঁও’ গিয়ে দেখা যায় শ’ শ’ লরি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এদিক ওদিক ঘুরে অলস সময় পার করছেন। লরি মালিক আবদুর রহমান হাওলাদার জানালেন,  ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়ায়-আসা কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা না হলে গাড়ির চাকা ঘুরবে না। 

দূরপাল্লার বাস ভাড়া বাড়লেও পন্যপরিবহনে নিয়োজিত লরির ভাড়া সমন্বয় করা হয়নি। পরিবহন কোম্পানি গুলো বলেছিলো জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা পরিষেবা বন্ধ  রেখেছেন। দূরপাল্লার বাসসহ নগরপরিবহনের ভাড়া  বাড়ানোর পর গাড়ি চালাচল শুরু হয়।  

শুক্রবার মধ্য রাত থেকে জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকার বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। ঢাকার অন্যতম আড়ৎ কাওরান বাজার ঘুরে জানা গেল, পণ্যপরিবহনের লরির সংকটের কথা। যাও মিলছে তাতে প্রতি ট্রিপে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। যা পুষিয়ে নিতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।