Urmi's letter : চিঠি হাতে হাজির উর্মি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শৈশবকাল থেকেই হৃদমন্দিরে লেখালেখির ইচ্ছেটা ঘুরপাক খেতে থাকে। শৈশবের মসৃণ পথ পেরিয়ে তারুণ্যের পথে পা রাখতেই লেখার ইচ্ছেটা আর দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। অজ্ঞতা কলেজের ম্যাগাজিনেই লেখাটি প্রকাশ পায়। ছাপার অক্ষরে লেখা সামনে আসতেই সাহিত্যের কাদামাটি আটকে যায় সরল মন। সেই থেকেই শুরু।
ইটপাথরের হৃদয়হীন রাজধানী। আকাশ ছোঁয়া দালান-কোঠার আবরণে শীতের অনুভূতিটা কম। সেই সঙ্গে বায়ুদূষণ এবং যানবাহনের নিসৃত ধোয়ায় মেগাসিটির পরিবেশটা অসহনীয়। তারমধ্যেও সুখ-দুঃখের যৌথ বসবাস। ব্যস্ত এই নগরীর জীবনধারা বৈচিত্রময়। এখানে কেউ ভালোবাসার জন্য শুষ্ক মনে বেচে থাকে, আবার কেই ভালোবাসা দূরে ঠেলে দেয়। বোঝাপড়ার খুবই অভাব। লেখালেখিতে পারিবারিক সুখস্বাচ্ছন্দের ছবি আঁকাটা বড়ই কঠিন। তারপরও মানুষের বিরামহীন চেষ্টা।
রেহানা উর্মির উপন্যাস ‘চিঠি’। এটি কী মূলত একটি পারিবারিক পরিবেশকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কাহিনী। নাকী অকেগুলো বিষয় একসঙ্গে ভিড় করেছে? তবে চিঠি একটি ভালোবাসার গল্পের বিস্তার একথা বলা যায়। ভালোবাসাকে সঙ্গী করে, একে অপরের হাত ধরে আগামীর দিনগুলো কাটিয়ে দেওয়ার সংকল্প ইত্যাদি নানা বিষয় ওঠে এসেছে ‘চিঠি’ উপন্যাসে।
কলেজের ম্যাগাজিনে ছাপার পরই সবিস্তারে লেখাটি বই আকারে প্রকাশের ইচ্ছে জাগে উর্মির। সেই প্রচেষ্টা তার সফল হয়েছে। এবারের অমর একুশে বই মেলায় প্রকাশ পায় তার আকাক্সক্ষার ফসল। উর্মি জানালেন, শৈশব থেকেই লেখালেখির একটা ঝোক ছিলো। পরিবারের তরফেও এনিয়ে কোন বাধা আসেনি। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠলে যে সুবিধাটুকু মেলে, উর্মির বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আগামী দিনগুলোতে আরও সমৃদ্ধ লেখায় হাত লাগাবেন উর্মি-এই প্রত্যাশা।