Women's sky : নারীর আকাশ 

Women's sky :  নারীর আকাশ 

অগ্নিশিখা, সাহিত্যিক ও সমাজ সেবক 

‘সমগ্র বিশ্বের পুরো মানব সমাজ নারীর ভ্রুন থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। ক্ষেত্রে কারো সাধ্য নেই নারীর সাহায্য বিনা এই পৃথিবীতে মানব হয়ে জন্মানোর। নারীই তার শরীর চিরে রক্তে ভেজা ভ্রুনকে এই পৃথিবীর আলোয় নিয়ে আসেন এবং সযত্নে বড় করে তোলেন’

এই পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ নারীর আর অর্ধেক আকাশ পুরুষের, যা বিধাতার দান। এতোদিন কবিরা এই কথাটি বলে এসেছেন, তা সর্বোপরি ভুল। আমিই বোধহয় প্রথম এ কথার তীব্র প্রতিবাদ করছি। জানি আমার এ কথাটি অনেকের মেনে নিতে কষ্ট হবে। এটা বিধাতার দান নয়, এটা পুরোপুরো নারীর দান।

কারণ, সমগ্র বিশ্বের পুরো মানব সমাজ নারীর ভ্রুন থেকেই উৎপত্তি হয়েছে। ক্ষেত্রে কারো সাধ্য নেই নারীর সাহায্য বিনা এই পৃথিবীতে মানব হয়ে জন্মানোর। নারীই তার শরীর চিরে রক্তে ভেজা ভ্রুনকে এই পৃথিবীর আলোয় নিয়ে আসেন এবং সযত্নে বড় করে তোলেন। 

নারী-পুরুষে মিলিতভাবে অর্ধেক নয়, পুরো আকাশ। বীর্য দান করার সুবাদে সে দখলদারি নিতে চায় পুরো পৃথিবীর! ভুলে যায় তার জন্ম বৃত্তান্তের জীবনের কথা। যেখানে সে দশ মাস দশ দিন পৃথিবীতে আসার অপেক্ষায় নারীর গর্ভেই ছিল। হাজারো যন্ত্রণা সহ্য করে নারী তার শরীরের পুষ্টি দান করে গিয়েছেন।  আজ ভাবতে অবাক লাগে এসব কথা প্রতিটি পুরুষ  জেনেও  নারীর ওপর এতো বিধি নিষেধের ঘেরাটোপ, এতো অত্যাচার  কেন? 

সীতা মা এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বলেছিলেন ‘হে ধরণী দ্বিধা হও আমি প্রবেশ করি’ কিন্তু আমরা এ যুগের নারী পাতালে প্রবেশ নয়, বলি হে পুরুষ লজ্জিত হও এখোনো সাবধান হও, না হলে প্রনয়ী নও ক্রীতদাস বানিয়ে রাখবো এটা আমাদের অঙ্গীকার। 

পৃথিবীতে নারী অসাধ্য কোন কাজ নেই। যেদিন এই সত্য প্রতিটি নারী বুঝতে পারবে, সেদিন সত্যিই এ পৃথিবী অন্য রকম হবে। সেদিন সত্যিই আমরা বলতে পারবো-সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্। নারী ও পুরুষের মিলিত চেতনাই তো জন্ম দেবে এক নতুন ইভ আর আদমের পৃথিবীকে। 

জানি এতে নারী পুরুষের ক্রোমোজোম এর খেলা আছে অর্ধেক অর্ধেক, কিন্তু সেটা তো অস্বীকার করিনি।  তাই বলে এতো গগনচুম্বী আস্ফালন আর যে সহ্য হয়না। নারীরও অধিকার আছে, সৃষ্টিতে শুধু ক্রোমোজমের খেলাই শেষ কথা নয়, দশ মাস দশ দিন  যে সৃষ্টিকে রক্ষা করে চলেছে,  তাকে ভুলে যাওয়াটা আমাদের লজ্জা।